অর্থনৈতিক সঙ্কটের কথা তুলে ধরে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সব কিছুর দাম বাড়ছে। যাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই ভদ্রলোক একেবাবে নতুন। উনি এসে বললেন, ‘‘সিন্ডিকেটরা সবকিছুর দাম বাড়ায়। এক সপ্তাহের মধ্যে সব সিন্ডিকেট বন্ধ করে দেব।’’ উনার শপথ নেওয়ার পর তিন সপ্তাহ পার হচ্ছে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পেরেছেন? সিন্ডিকেট ভেঙেছে? জিনিসপত্রের দাম কমেছে? পারেন নাই!’

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এম জাঙ্গাহীর আলমের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন বলে আমরা ৫ বছর থাকব। তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে না যে, কয়দিন থাকবে। কারণ তিন মাসের মধ্যে পেঁয়াজ ও চাল কেনার টাকা যদি না থাকে, গরিব মানুষের এবং চাকরিজীবীদের বেতন দেওয়ার টাকা যদি না থাকে তাহলে এই সরকার চলবে কেমনে?’

তিনি বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির (সংসদ নির্বাচন) আগে থেকে এবং ৭ তারিখের পর থেকে আমরা লড়াইয়ের রাস্তায় আছি। রাস্তা ছেড়ে যাব না। এর মধ্যেই বিরোধী দল আবার মিছিল শুরু করেছে। কর্মসূচি দিচ্ছে। পুলিশের ভয় যদি পাই তাহলে এখানে আসছি কেন?’

তিনি বলেন, ‘সরকারকে যেতে হবেই। তার আগে আমরা রাস্তা ছাড়ব না, কথা এটাই। আমাদের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, এই যাত্রা থামবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকারকে গদি থেকে নামাতে না পারব। আর তাদের যেতে হবেই। আওয়ামী লীগের দিন বড় খারাপ। আরও খারাপ আসবে। খুব বেশি দিন লাগবে না।’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংসদে থাকবে সরকারি দল এবং বিরোধী দল। কিন্তু এখানে বিরোধী দল নাই। বিরোধী দলের নেতা একজনকে বানিয়েছে। এই সংসদের কফিনে পেরেক মেরে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের গণতান্ত্রিক সব কিছু নস্যাৎ করে দিয়েছেন।’